খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও আলেম ড. আব্দুর রহমান রাফাত পাশা (র.)-এর জীবনী
এবং গ্রন্থাবলী [পিডিএফ]

জন্ম:
১৯২০ খ্রিস্টাব্দে উত্তর সিরিয়ার আরিহা শহরে জন্ম। জন্মের চার মাসের মাথায় বাবাকে হারান। চার বছর বয়সে মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলে দাদার কাছেই লালিত-পালিত হন।
ইলম অর্জন:
সিরিয়ার প্রাচীনতম শারঈ শিক্ষাগার হালাব শহরের মাদরাসা খুরভিয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন। তারপর মিসরের আল–আজহার ইউনিভার্সিটি থেকে অর্জন করেন উসূলে ফিক্হের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি। আল-আজহারে পড়াশোনা শেষ করে কায়রো ইউনিভার্সিটিতে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
জ্ঞান ও সাহিত্যচর্চা:
ড. আবদুর রহমান রা‘ফাত পাশা শিক্ষকতা, সাহিত্যসাধনা ও গবেষণাতেই জীবনভর সম্পৃক্ত ছিলেন। একসময় দামেস্ক ইউনিভার্সিটির কলা অনুষদের প্রভাষক ছিলেন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে সৌদি আরব সফরে গেলে রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সউদ ইউনিভার্সিটি থেকে অধ্যাপনার প্রস্তাব পেয়ে সেখানেই স্থির হয়ে যান। আরবি ভাষার সেবা, সাহিত্যসাধনা ও গবেষণার পাশাপাশি মুহাম্মদ ইবনে সউদ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে সেখানেই কাটিয়ে দেন জীবনের বাকি বাইশটি বছর।
ইসলামি সাহিত্যের উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে ড. রা‘ফাত পাশা প্রধানত দুটো ভাগে কাজ করেছেন—
এক. ইসলামের স্বর্ণযুগে রচিত দাওয়ামূলক কবিতা সম্ভারকে শিল্পের নিক্তিতে মেপে সমালোচনা।
দুই. ইসলামের অতীত ইতিহাসকে খ্যাত ও বিস্মৃত মনীষীদের জীবনীর আদলে অনন্য রচনাশৈলিতে উপস্থাপন।
সাহিত্যে রা‘ফাত পাশা যে কাজগুলো করে গেছেন, তা আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবা’, ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবিয়াত’ ও ‘সুয়ারুম মিন হায়াতিত তাবেয়িন’ শিরোনামের তিনটি গ্রন্থ তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এ ছাড়া ‘আদ–দীন আল–কাইয়িম’, ‘লুগাত আল–মুসতাকবিল’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আরও বিপুল কাজ করে গেছেন তিনি।
ইসলামি দাওয়াহ সাহিত্যের ভিত্তিস্থাপক হিসেবে তাঁকে মূল্যায়ন করেছেন বিশ্বখ্যাত পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব শায়েখ আবুল হাসান আলী নদভী (র.) এবং তাঁর কাজ ও প্রচেষ্টাকে সেভাবেই তিনি উপস্থাপন করেছেন। রাফাত পাশার ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসম্ভারকে আলোচ্য করে ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর বাসভবনে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হলে আবুল হাসান আলী নদভীসহ বরেণ্য ইসলামিক স্কলাররা তাঁর কাজের অপূর্ব মূল্যায়ন এবং অভিভূতি প্রকাশ করেন সেই সেমিনারে।
তারপরে ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে মদিনা ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে, ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইউনিভার্সিটিতে এবং ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে নদওয়াতুল ওলামা লাখনৌতে দাওয়াহ সাহিত্যের ওপর আবুল হাসান আলি নদভি ও রাফাত পাশার সমন্বয়ে তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। নদওয়ায় অনুষ্ঠিত সেমিনার থেকে আবুল হাসান আলী নদভির উদ্যোগে দাওয়াহ সাহিত্যের পরিচর্যার লক্ষ্যে গঠিত হয় ‘রাবেতা আল–আদাবুল ইসলামি’। রাফাত পাশা সে সংগঠনের সহসভাপতি নিযুক্ত হন।
ইন্তেকাল:
৬৬ বছর বয়সে প্যারালাইসিসের কারণে ড. রা‘ফাত পাশার শরীরের একাংশ বিকল হয়ে যায়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময় ডাক্তারের পরামর্শে কিছু দিনের জন্য হাওয়া বদলের উদ্দেশ্যে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান এবং সেখানেই জুলাইয়ের ১৮ তারিখ মোতাবেক ১১ জিলক্বদ ১৪০৬ হিজরী শুক্রবার রাতে ইন্তিকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক ‘ফাতেহা’ গোরস্তানে তাঁকে সমাহিত করা হয়, যেখানে শুয়ে আছেন বিপুল সংখ্যক সাহাবায়ে আজমাঈন ও তাবেয়িনে কেরাম।
# লেখকের রচিত গ্রন্থাবলীর (PDF) কালেকশন সমগ্র:
[নিচের তালিকাবদ্ধ বইয়ের নাম হতে আপনার প্রয়োজনীয় পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করতে যেকোন একটি সার্ভারের ডাউনলোড লিঙ্ক বেছে নিন।]
০০১. আলোর কাফেলা [১-৩ খণ্ড] – ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা (রহ.)
Download: 1. Drive Link ||
০০২. আলোর মিছিল [১-৬ খণ্ড] – ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা (রহ.)
Download: 1. Drive Link ||
০০৩. সাহাবীদের জীবন চিত্র [১-২ খণ্ড] – ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা (রহ.)
Download: 1. Drive Link ||
১. নারী সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত জীবন – ড. আব্দুর রহমান রাফাত পাশা (রহ.)
Download: 1. Drive Link ||
২. সাহাবীদের বিপ্লবী জীবন – ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা (রহ.)
Download: 1. Drive Link ||
[ বি: দ্র: ] বই পড়ুন, বই কিনুন, প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। আমাদের সাইটের কোন বই ভালো লাগলে অনুগ্রহপূর্বক মূল বইয়ের হার্ডকপি লাইব্রেরী হতে সংগ্রহ করুন।
মনে রাখবেন, আপনার ক্রয়কৃত বই প্রেরণা যোগায় লেখক ও প্রকাশককে নতুন বই প্রকাশ করতে। লেখক, প্রকাশক ও পাঠক সমাজকে সুসমৃদ্ধ করার প্রয়াসে মূল বই ক্রয়ের কোনো বিকল্প নেই।
অনলাইনে বই ক্রয়ের জনপ্রিয় কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম –



